মহাস্থান নিউজ:
আল্টানটিক সাগরে ডুবে যাওয়া টাইটানিক জাহাজ দেখতে একটি পর্যটকবাহী ডুবোযান সমুদ্রের তলদেশে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয়। এটিকে খুঁজে পাওয়ার জন্য ব্যাপক তল্লাশি চালানো হচ্ছে। রোববার যানটি নিখোঁজ হয়। খবর বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড জানায়, ডুবোযানটি সাগরের তলদেশে যাওয়ার এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর এটির সঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়।
টুরিস্ট ফার্ম ওশেনগেট জানিয়েছে ডুবোযানটিতে ৫ জন পর্যটক রয়েছে। তাদের উদ্ধারে সমস্ত পদ্ধতি কাজে লাগানো হচ্ছে।
১২ হাজার ৫০০ ফিট সমুদ্রের তলদেশে যাওয়ার জন্য একজন পর্যটককে খরচ করতে হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আটদিন ব্যাপী এ ট্রিপের আয়োজন করা হয়।
ওশেনগেচ জানিয়েছে ডুবোযানটিতে যে অক্সিজেন রয়েছে তা দিয়ে চারদিন চলা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের একজন কর্মকর্তা সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন নিখোঁজ ডুবোযানটি ৭০ ঘণ্টা কিংবা ৯৬ ঘণ্টা অতিক্রম হলে কোথাও না কোথাও পাওয়া যাবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডুবোযানটি নিখোঁজ হওয়ার ৭০ ঘণ্টা পার হয়েছে। এর মধ্যে সব অক্সিজেন শেষে হয়ে গেছে। ফলে ডুবোযানটিতে থাকা পর্যটকদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে গেছে।
১৯১২ সালে তৎকালীন বিশ্বের বৃহত্তম যাত্রীবাহী এই জাহাজ সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে প্রথম সমুদ্রযাত্রায় বিশাল বরফখণ্ডের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়। জাহাজটিতে ২ হাজার ২০০ জন যাত্রী ও ক্রু ছিলেন। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় তাদের মধ্যে এক হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মারা যান।
১৯৮৫ সালে ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়ার পর থেকে টাইটানিক নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চলছে। প্রায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটক বিখ্যাত এই জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আটলান্টিকের তলদেশে ভ্রমণে যান।