মহাস্থান নিউজ:
পূর্বশত্রুতার জের ধরে নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় তমজিদ মিয়া (৩০) নামে এক যুবকের পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। গত ৩১ জানুয়ারি কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের বহুলী গ্রামে ঘটেছে এ ঘটনাটি।
গুরুতর আহত ওই যুবক বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় আহত তমজিদ মিয়ার বাবা রেজাক মিয়া বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের অন্তর মিয়াসহ ১২ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে তমজিদ মিয়ার পরিবার ও স্বজনরা অবিলম্বে আসামিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বহুলী গ্রামে আহত তমজিদ মিয়ার পরিবার, স্বজন ও এলাকার লোকজন সমবেত হয়ে তারা এ দাবি জানান।
থানা পুলিশ, মামলা ও উভয়পক্ষ থেকে জানা গেছে, তুচ্ছবিষয়কে কেন্দ্র করে বহুলী গ্রামের সোহেল মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের অন্তর মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ৩১ জানুয়ারি সকালে সোহেল মিয়ার ভাগিনা তমজিদ মিয়া তাদের বাড়ির পাশের ফসলি জমিতে কাজ করতে গেলে প্রতিপক্ষের অন্তর মিয়াসহ কয়েকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তমজিদের ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে হামলাকারীরা কুপিয়ে তমজিদের পায়ের রগ কেটে দেয়। পরে স্বজনরা আহত তমজিদ মিয়াকে উদ্ধার করে প্রথমে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত তমজিদ মিয়ার বাবা রেজাক মিয়া বলেন, তমজিদ আমার একমাত্র ছেলে। অন্তরসহ কয়েকজন মিলে আমার ছেলের পায়ে কুপিয়ে রগ কেটে দিয়েছে। এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এ ঘটনায় আমি জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। কিন্তু এখনও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। আমি এ ঘটনার ন্যায় বিচার চাই।
এ বিষয়ে চেষ্টা করেও প্রতিপক্ষের অন্তর মিয়ার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে অন্তরের মা সুফিয়া আক্তার বলেন, সোহেল মিয়ার সঙ্গে আমার ছেলে অন্তর মিয়ার বিরোধের ঘটনায় তমজিদ আমার ছেলেকে কুপিয়ে আহত করেছিল। পরে সালিশের মাধ্যমে স্থানীয় মাতব্বরগণ বিরোধ মীমাংসা করে দেন। কিন্তু মীমাংসার পরও অন্তরকে নানাভাবে তিরস্কার করতো তমজিদ। এরই জেরে অন্তর তাকে মারধর করে।
কেন্দুয়া থানার ওসি আলী হোসেনের সঙ্গে কথা হলে এ বিষয়ে তিনি মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। বিষয়টি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেন্দুয়া থানার এসআই তাপস বণিক বলেন, বহুলী গ্রামের দুপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় দুপক্ষই থানায় মামলা করেছেন। দুপক্ষের আসামিরাই আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিনে রয়েছেন। মামলা দুটির তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।