রির্পোট: নিউজ ডেস্ক
সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী জানান, বকশিবাজারে তাসিম মুরগির ঘরের মালিক আলমগীর মৃত মুরগি বিক্রি করছে বলে জানা যায়। পরে সেগুলো ক্রেতাদের অর্ডার করা মুরগি প্রসেসের নামে দোকানের ভেতর নিয়ে পরিবর্তন করে দিতেন।
কেনার পর প্রসেসিংয়ের নামে মরা মুরগি দিয়ে ক্রেতাদের ঠকিয়ে আসছিলেন ব্যবসায়ী, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দপ্তরের অভিযানে ধরা পড়ে অবশেষে গুনলেন জরিমানা।
বগুড়া শহরের বখশিবাজারে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে এই অভিযান পরিচালনা করেন জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী।
ওই সময় ওই মুরগি ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। একই অভিযানে মূল্য তালিকা না থাকায় ওই বাজারের আরও তিন গরুর মাংস বিক্রেতা তিন হাজার টাকা জরিমানা দেন।
দণ্ডিতরা হলেন, তাসিম মুরগি ঘরের আলমগীর, গরুর মাংস বিক্রেতা জাহেদুর, লালন শেখ ও আব্দুল আলিম।
সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বকশিবাজারে তাসিম মুরগির ঘরের মালিক আলমগীর মৃত মুরগি বিক্রি করছে বলে জানা যায়। পরে সেগুলো ক্রেতাদের অর্ডার করা মুরগি প্রসেসের নামে দোকানের ভেতর নিয়ে পরিবর্তন করে দিতেন। এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে ওই বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। গোপন অভিযানে দেখা যায় ওই ব্যবসায়ী প্রসেসিংয়ের জায়গায় কৌশলে আগে থেকে মরা মুরগি আড়াল করে রেখেছেন। পরে ক্রেতাদের অজান্তে মরা মুরগি ব্যাগে ভরে দিয়ে দেন।
ইফতেখারুল আলম বলেন, ‘ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পরপরেই আলমগীরকে আটক করা হয়। এ সময় তার দোকানের ভেতর প্রায় ৩০ কেজি মরা মুরগি জব্দ করি। পরে আলমগীর নিজের দোষ স্বীকার করায় ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং দোকানটি সিলগালা করে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়।’
ভোক্তার এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘একই অভিযানে তিন গরুর মাংস ব্যবসায়ীকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।‘
অভিযানে জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিস এবং জেলা পুলিশের সদস্যরা সহযোগিতা করেন।