আজব এক শহর। যে শহর প্রায় জনশূন্য। চারপাশে শুধু দাগ-ময়লা। কাপড়ে নোংরা, নোংরা লোকেদের অট্টহাসি, ভয়ে কুকড়ে যাওয়া মানুষ, যেন ময়লা আর মলিনতার কাছে জিম্মি এক শহর।
এমন এক শহরে হঠাৎ আগমন ঘটে এক তরুণের। যার নেই ঢাল নেই তলোয়ার। তার বাহন ঘোড়া, মাথায় হ্যাট, পোশাক সাদা। নাম তার মি. হোয়াইট! শহরের ময়লা আর মলিনতার বিরুদ্ধে তাঁর যুদ্ধ। সে ফিরিয়ে আনতে চায় হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা। সেই তরুণ তার জাদুকরী শক্তি দিয়ে সব ময়লা মলিনতা দূর করে বের করে আনে রঙিন এক শহর, মানুষের কাপড়ে ফিরে আসে উজ্জ্বলতা, মনে ফিরে আসে আনন্দ।
অবাক হবেন না, এটি একটি বিজ্ঞাপন চিত্রের গল্প। এই বিজ্ঞাপনেই মডেল হয়েছেন এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো।
কয়েক দিন ধরে টিভি চ্যানেল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন চিত্রটি নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হচ্ছে। নিশোর ভক্তকুল ছাড়াও সাধারণ দর্শকরা এর প্রশংসা করছেন। দীর্ঘদিন পর গঠনমূলক কোনো টিভিসি দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন সমালোচক ও বোদ্ধারা। সব মিলিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিশো মানে মি. হোয়াইট।
বিজ্ঞাপনটিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে আফরান নিশো বলেন, ‘এই টিভিসিটার গল্প বলার ধরন বেশ ইউনিক। কোনো ডিটারজেন্টকে যে এ রকম স্টাইলিশ ওয়েতে পোট্রে করা যায় এটা আসলে এর আগে কখনো দেখা যায়নি।’
কাজী এন্টারপ্রাইজেস লিমিটেডের মি. হোয়াইট ডিটারজেন্ট পাউডারের এই বিজ্ঞাপন চিত্রটি নির্মাণ করেছেন ওয়াহিদ তারেক। এর নেপথ্য কারিগর বিজ্ঞাপনী সংস্থা প্যাপিরাস কমিউনিকেশনস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কাজী মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘এই বিজ্ঞাপনটা আমাদের জন্য ছিল এক নতুন অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশে এ রকম কনসেপ্টে কাজ এর আগে হয়েছে কি-না আমার জানা নেই। এটাকে আমি আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটা মাইলস্টোন কাজ-ই বলবো।
বিজ্ঞাপনটি সম্পর্কে কাজী প্রতিষ্ঠানটির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার রফিকুল আমীন বলেন, ’সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন পণ্যের পাশাপাশি এর কমিউনিকেশনেও আমরা সবসময় ব্যতিক্রমী থাকবার চেষ্টা করি।’