ছুরিকাঘাতে নিহত কায়েস পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে কৈয়গ্রাম এলাকার আবু তাহেরের বড় ছেলে। তিনি পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন বলে জানা গেছে।
নিহতের বাবা আবু তাহের কালের কণ্ঠকে বলেন, তার বড় ছেলে কায়েস বিয়ে করে পটিয়ার কৈয়গ্রাম এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার তিনটি ছেলে সন্তান আছে। শুক্রবার রাত ৯টার পর থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। আমরা সবাই চিন্তিত ছিলাম। আমার ছেলের সাথে কারো কোনো শত্রুতা ছিল না। সে শহরে টুকটাক ব্যাবসা-বাণিজ্য করতো। আমার ছেলেকে যে বা যারা হত্যা করেছেন তাদেরকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
নিহতের স্ত্রী শাহনাজ আকতার কালের কণ্ঠকে জানান, শুক্রবার দুপুর ২টার পর ভাত খেয়ে বাসা থেকে বের হন কায়েস। সর্বশেষ রাত ৯টার পর তার সাথে কথা হলে কায়েস বলেন, বাসার জন্য কিছু আনতে হবে কিনা। তার স্বামী দোকানে গিয়ে ফোন দেবেন জানিয়ে কথা শেষ করেন।
কারো সাথে কোন শত্রুতা ছিল কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীর সাথে এলাকায় কারো কোনো শত্রুতা ছিল না, কিন্তু শহরে কিছু ঝামেলা ছিল। বেশ কিছু দিন আগে তার মোবাইলে একটা ফোন আসে, তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন কে বা কারা। ঠিক ১৫ দিন পূর্বে দুজন লোক এসে কায়েসকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে এলাকার একটা চায়ের দোকানে বসে আলাপ করেছে। তিনি আরো বলেন, আমার ১১, সাত ও চার মাসের তিনটা ছেলে সন্তান আছে। ‘তাদের নিয়ে আমি এখন কী করবো’ বলে কান্না করতে থাকেন। তার স্বামী হত্যার সাথে যারা জড়িত তাদের যাতে পুলিশ গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়, সেই দাবী তার।
এ ব্যাপারে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ কালের কণ্ঠকে বলেন, সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মোহাম্মদ কায়েস নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার পেটে, পিঠেসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাতে খুন করে লাশটি এখানে ফেলে গেছে। নিহতের পকেটে থাকা মানিব্যাগে জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে তার পরিচয় শনাক্ত হয়। পকেটে একটি মোবাইলও পাওয়া গেছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।