রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহী জেলার বাঘায় এক ছাগলের ৭ বাচ্চা হওয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঈদের ৩ দিন আগে এই বাচ্চার জন্ম হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশ-পাশের এলাকা থেকে নারী-পুরুষ বাচ্চাগুলোকে দেখতে ভিড় করছেন। এ ঘটনা উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নের বেড়েরবাড়ি বিনিময়পাড়া গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আড়ানী ইউনিয়নের বেড়েরবাড়ি বিনিময়পাড়া গ্রামের মৃত আবদুল জলিল উদ্দিনের ছেলে সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী আলেয়া বেগমের একটি দেশি ছাগী একসঙ্গে ৭টি বাচ্চা প্রসব করে। ওই ছাগী প্রতিবার ৩/৪টি করে বাচ্চা দেয়। এবার একসঙ্গে ৭টি বাচ্চার জন্ম দিয়েছে। ৭টি বাচ্চা জন্ম দেয়ার পর মা ছাগল ও বাচ্চাগুলো সুস্থ আছে এবং স্বাভাবিক চলাফেরা করছে।
ছাগলের মালিক সিরাজুল ইসলাম ও স্ত্রী আলেয়া বেগম জানান, এই ছাগলের বাচ্চাগুলো বড় হলে বিক্রি করে সংসারে ও ২ সন্তানের লেখাপড়ার খরচ চালায়। সিরাজুল ইসলামের ৩ সন্তান। এরমধ্যে বড় মেয়ে সারমিনকে বিয়ে দিয়েছেন। মেজো মেয়ে এসএসসি পাস করে নার্সিংএ ভর্তির জন্য জেলা শহরে কোচিং করছে। ছোট ছেলে সোহাগ আহমেদ আড়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। সিরাজুল ইসলাম ভটভটি গাড়ি চালায়। আবার কোন কোন সময়ে বাজারে বাদাম বিক্রি করে সংসার চালান। তারা আরও বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে ৭টি ছাগলের বাচ্চা হওয়ায় আমরা খুবই খুশি। ছাগলটি কয়েক বছরে মোট ৪০টির মতো বাচ্চার জন্ম দিয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন বাচ্চাগুলোর জন্য ১২০ টাকার দুধ লাগছে। আমি অল্প আয়ের মানুষ। নিজের সংসারের খরচের সাথে বাচ্চার দুধ কিনতে একটু কষ্টই হচ্ছে। এ বিষয়ে আড়ানী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রভাষক রফিকুল ইসলাম জানান, আমার এলাকায় এ ধরনের একটি ছাগলের ৭টি বাচ্চা এই প্রথম। বাচ্চাগুলোর সঠিক পরিচর্চা নেয়ার জন্য আমি তার বাড়িতে গিয়ে পরামর্শ দিয়ে এসেছি। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রোকনুজ্জামান জানান, একটি ছাগল ৪টি পর্যন্ত বাচ্চা জন্ম নেয়া স্বাভাবিক। কখনও ৫টিও হয়। ৭টি বাচ্চা জন্ম নেয়া ব্যতিক্রম, তবে অস্বাভাবিক কিছু নয়। ঘটনাটি জানার পর ছাগলের মালিককে অফিসে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া, সময় পেলে তার বাড়িতে গিয়ে ছাগলগুলো দেখে আসব।