নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় বুড়িতিস্তা নদীর উপর একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগের শিকার হাজারও মানুষ। উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নেকবক্ত মন্থনা ঘাটের বুড়ি তিস্তা নদীর উপর সেতু না থাকায় যুগ যুগ ধরে দুর্ভোগের শিকার হন ডাউয়াবাড়ী চরভরট এলাকার ২০টি গ্রামের ২৫ হাজার মানুষ।
এ চরভরট এলাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের ও হাতীবান্ধার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের শেষ সীমানা। উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের নেকবক্ত বাজার সংলগ্ন এলাকার মন্থনা ঘাটের পাড়ে বুড়িতিস্তা নদীতে একটি সেতুর অভাবে ওই দুই এলাকার মানুষের দূর্ভোগের যেন শেষ নাই। হয়নি তাদের ভাগ্য পরিবর্তন । ভাগ্য পরিবর্তন শুধু কাগজে কলমে। স্থায়ী সেতু না থাকায় ওই এলাকার মানুষ বর্ষার সময়ে নৌকা, আর শুষ্ক মৌসুমে কাঠ বা বাশের সেতুর উপর দিয়ে পারাপার হন টোল দিয়ে। তাছাড়া সেখানে নেই কোন নাগরিক সুবিধা। আর চলাচলের জন্য যানবাহন, হাসপাতাল, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ, বাজার,বিপনি বিতান,সহ সকল ধরনের নাগরিক সুবিধা না থাকার ফলে কষ্ঠ সাধ্য হয়ে পড়েছে তাদের চলাচল ও জীবন জীবিকা ওই এলাকার মানুষের জীবন যাত্রার মান চলছে বৃটিশ ও আদি যুগের মতো। তাছাড়া এ দুই এলাকার মানুষ নেকবক্ত ও জলঢাকার সাথে যোগাযোগ বেশী। সরেজমিনে জানাযায়, নদী সংলগ্ন এলাকা গুলোতে ভাংগা গড়ার মাধ্যমে চরে গড়ে উঠেছে অনেক জনপদ ।এ নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এসব জনপদ সহ আশপাশের অসংখ্য মানুষ ও কৃষকেরা দুই পাড়ে শত শত হেক্টর জমিতে ধান,পাট,গম,ভুট্টা,আখ,সহ নানান শাক সবজি,ও ফসল ফলান।
ডাউয়াবাড়ী চর ভরট এলাকার লোকজন তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য উৎপাদিত পন্য নিকটস্থ জলঢাকা,নেকবক্ত ও হাতিবান্ধার ডাউয়াবাড়ী বাজারে আনা নেওয়া করে কষ্ঠ করে বর্ষায় নৌকায় আর শুষ্ক মৌষুমে টোল দিয়ে বাশের সেতু দিয়ে মাথায় ও ঘারে করে পার হতে হয় তদের। এক কথায় নিভে যাচ্ছে বিপুল উন্নয়নের সম্ভাবনার প্রানের স্পন্দন জলঢাকার নেকবক্ত ও হাতিবান্ধার ডাউয়াবাড়ী এলাকায় তিস্তা ও বুড়ি তিস্তা নদীর উপর দুটি ব্রীজের অভাবে। এলাকাবাসী সবুর মিয়া,আলমগীর হোসেন, আরিফ, বলেন, সেই ছোট বেলা থেকেই দুর্ভোগ পোহাতে হয় আমাদের মত অসহায় মানুষদের নির্বাচন এলে সবাই ভোটের জন্য অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু ভোট বের হলে কোন নেতার মনে থাকে না এ হতভাগ্যদের কথা। সরকার যায় আসে কিন্তু যায়না আমাদের এই দূর্ভোগ। এলাকা বাসীর অভিযোগ স্বাধীনতার দীর্ঘদিনেও তাদের প্রানের দাবী একটি সেতুর নির্মাণের ওয়াদা রাখেননি কেউ। ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহ এলাকাবাসী তিস্তা নদীর উপর একটি সেতুর জন্য এমপি মন্ত্রীদের কাছে অনেক ধরনা দিচ্ছেন তারা কথা দেন কিন্তু কথা রাখেন না। তাই দুর্ভোগ এরাতে বুড়িতিস্তা নদীর উপর এই সেতু নির্মাণ এখন এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী। ইউনিয়নপরিষদ সুত্র জানান এই ব্রীজের নির্মাণ সংক্রান্ত সকল বিষয় একনেকে পাশ হওয়ার পর তা কাজ শুরুর চুুরান্ত অনুমোদনের জন্য ফাইল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ও প্রধান মন্ত্রীর দপ্তরে আছে ওনাদের চুরান্ত অনুমোদোন পাওয়ার পরে কাজ শরু করবে ঠিকাদার।