পৈতৃক জমি-জমার দখলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাচা-ভাতিজা দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে সাহাব উদ্দিন,তার মা, ও স্ত্রী রয়েছেন। আহতদের ঈশ্বরদী উপজেলা হেলথ্ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরনে জানা গেছে, উপজেলার আওতাপাড়া গ্রামে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধে সাহাব উদ্দিন ও তার চাচা সিরাজ প্রামানিকের পরিবারের মধ্যে এর আগেও একাধিকবার মারামারির ঘটনা ঘটে। তারই জের ধরে বুধবার (২০ এপ্রিল) ১ টার দিকে সিরাজ প্রামানিকের লোকজন পার্শ্ববর্তী সাহাব উদ্দিনের বসত বাড়িতে লাঠিসোটা ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। সিরাজের লোকজন সংখ্যায় বেশি হওয়ায় প্রতিপক্ষরা পেরে ওঠেনি। তারা বেধড়ক মার খায়। পরে প্রতিবেশিরা তাদেরকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠায়।
গুরুত্বর আঘাত ও যখম হওয়ার পড় শাহাবুদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত সহ মোট ৯ জনকে অভিযুক্ত করে ঈশ্বরদী থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন ১.সিরাজুল ইসলাম ২.শরিফুল ইসলাম ৩.নবাব আলী ৪.আব্দুল মোমেন সর্বসাং- আওতাপাড়া ৫.জীবন সাং-পিয়ারাখালী আর ও বাকি ৪ জনকে অজ্ঞাত করা হয়।
ঈশ্বরদী থানার ওসি আসাদুজ্জামান আসাদের সাথে মুঠোফোনে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে মারামারির ঘটনাটি অবগত আছেন। এসআই রবিউল ইসলামকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তে সাক্ষ্য-প্রমাণে উপযুক্ত প্রমাণিত হলে মামলা দায়ের করা হবে।
হাসপাতালে সাহাব উদ্দিনের স্ত্রী শামীমা আক্তার আঁখি ভর্তি থাকলেও অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর রিলিজ দেওয়া হয়েছে বলে জানান দায়িত্ব পালনরত চিকিৎসক।এদিকে ভুক্তভুগীরা জানান, আমরা এর বিচার চাই।শাহাবুদ্দিন বলেন আমার বাবা ও আমার মা দু জনেই মুক্তিযোদ্ধা।মুক্তিযোদ্ধা পরিবার হয়েও আমাদের উপর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গুরুত্বর আঘাত করা হয়েছে।আমরা এর প্রতিকার চাই।তিনি আর ও বলেন,আমাদের উপর এই ঘটনার পড় থেকে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।