গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলা তিস্তা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে । শীতকালে এই নদী হেঁটে পারাপার করতে দেখা যায় তীরবর্তী জনসাধারণদের । কিন্তু একটু পানি বেড়ে গেলেই নেমে আসে আতঙ্ক । শুরু হয় ভাঙ্গন । দিশেহারা হয়ে যায় জনজীবন । বিশেষ করে উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের চর বজরা, বজরা, সাতালস্কর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের কাশিমবাজার, কানি চরিতাবাড়ি, চর চরিতা বাড়ি এলাকায় প্রবল ভাঙ্গন শুরু হয় । ভাঙ্গনের ফলে বিগত ৩/৪ বছরে হারিয়ে গেছে কয়েক হেক্টর ফসলি জমি ও কয়েক হাজার মানুষের বসত ভিটা । ১০ বছর আগে বজরা হতে কাশিমবাজার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি । অসময়ে নির্মাণ ও কিছু অসাধু লোকজনের কারনে বাধঁটির অর্ধেক আজ তিস্তার অতল গহ্বরে বিলিন । কিছুদিন পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে চর বজরা এলাকায় টি-বাঁধ নির্মাণ হলেও তেমন কোন সুবিধা হয়নি । কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর বালু উত্তোলনের ফলে প্রতি বছর পানির সময় বাধঁটি বিশাল হুমকির মুখে পড়ে । গত বছর আরও ভয়াবহ বিপদ নেমে আসে । দ্বিতীয় তিস্তা সেতুর বাইপাস সড়ক উলিপুর টু তিস্তা ব্রিজের মাঝখানে কাশিমবাজারের টেবরির মোড় এলাকায় নির্মাণাধীন সড়কের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা ভেঙে পড়ে তিস্তার গর্ভে । পানি উন্নয়ন বোর্ডে এ বিষয় জানানো হলে তারা জানায় এখানো কোন বরাদ্দ নেই । এরপর এলাকাবাসীর চাপে সামান্য কিছু জিও ব্যাগ দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড । এই ব্যাগ নিয়ে কারচুপির অভিযোগ ছিল এলাকাবাসীর । এর পর সুন্দরগঞ্জ উপজেলার এমপি শামীম হায়দার পাটোয়ারী সামান্য কিছু জিও দিলে সেটাও কোন কাজে আসেনি । বর্তমান কাশিমবাজার সংলগ্ন এলাকায় চলছে তুমুল ভাঙ্গন । হুমকির মুখে কাশিমবাজার হাট যা এলাকার একমাত্র বাজার, কাশিমবাজার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, নাজিমাবাদ দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়, নাজিমাবাদ আলিম মাদ্রাসা এবং দুটি মসজিদ ।
তাই এই সব এলাকায় অসহায় মানুষদের দাবি নদী ভাঙ্গন এলাকায় গুলোতে পরিমাণ মত বরাদ্দ এবং অবৈধ ভাবে নদী থেকে বালু উত্তলোন বন্ধ করা |
পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ না করলে অচিরেই দেশের এক বৃহৎ এলাকা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে।
হারিয়ে যাবে কয়েকটি গ্রাম । কয়েকশত পরিবার ও হাজার হাজার একর ফসলি জমি ।
—-রংপুর প্রতিনিধি( আসাদুল্লাহ হাবিব )