বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি উত্তরপাড়ায় দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমির প্রাচীর ভেঙ্গে দললের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শহরের ফুলবাড়ি উত্তরপাড়াু এলাকার মো: ফরহাদ আলী খলিফার ছেলে মো: সেলিম আলী খলিফা।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, সেলিম আলী খলিফার দাদা মৃত কবলা ফুলবাড়ি মৌজায় ৩৩১ নং খতিয়ানে ২৪৬৭ নং দাগে দলিল মূলে বিভিন্ন সময়ে মোট ১৪ দশমিক ৭৫ শতাং জমি ক্রয় করে ভোগ দখল করেন। উক্ত জমি ভোগ দখল করতে থাকাবস্থায় একই এলাকার মৃত চাঁন মিয়া খলিফার ওয়ারিশগণ গত ১৯৯৪ সালের ১৭ অক্টোবর উক্ত সম্পত্তির দলিল বাতিলের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ দিন আদালতে মামলা চলার পর গত ১৯৯৮ সালের ১২ অক্টোবর তাদের বিপক্ষে অর্থাৎ অভিযোগকারির দাদা ওমর আলী খলিফার পক্ষে আদালাত উক্ত মামলার রায় প্রদান করেন। অতপর তার দাদা ০৫/১১ অন্য ডিং মোকদ্দমা আনয়ন করলে আদালত উক্ত মামলার রায়ও তার দাদার পক্ষেই প্রদান করেন এবং ঢাক-ঢোল পিটিয়ে,পুলিশ, ফোর্স কোর্ট কমিশনারসহ স্বরজমিনে লাল ফ্লাগ উড়িয়ে ডিগ্রি বুঝিয়ে দেন। এর পর হতে ওয়ারিশ পরমপরায় শান্তিপূর্ণভাবে তারা ভোগ দখল করে আসছেন।
আদালতে মামলায় পরাজিত হয়ে তারা উক্ত সম্পত্তি জবর দখল করবে মর্মে আমাদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি প্রদান করে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মৃত চাঁন মিয়া খলিফার ৬ ছেলেসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জন দা, কুড়াল, লোহার রড, হাতুড়ীসহ বিভিন্ন ধরনের দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উক্ত জমিতে দেয়া ইটের প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে। এ সময় তিনি সেখানে বাধা দিতে গেলে তারা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাত করতে এগিয়ে এলে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান। এছাড়াও তার চাচাতো ভাই মোঃ বাবুল এগিয়ে এলে তার মাথায় তারা আঘাত করলে সে আহত হয়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা বিভিন্ন প্রকার হুমকী প্রদান করে চলে যায়।
বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুর রহমান জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে একটি জমিতে দেয়া প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলা অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।