গাজীপুরে জয়দেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলামের গোপন বিয়ের তথ্য প্রকাশের পর নৈতিকস্খলনের দায়ে তাকে দায়িত্ব সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে তার স্থলে জয়দেবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো: শরিফুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত ওসির দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহের জের ধরে ওই ছাত্রী গাজীপুরের পুলিশ সুপারকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান।
জানা গেছে, মানিকগঞ্জে ওসি হিসেবে কর্মরত থাকাবস্থায় সৈয়দ মিজানুর ইসলাম স্থানীয় এক কলেজ ছাত্রীর (২৪) সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে গোপনে ওই কলেজ ছাত্রীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বদলী হয়ে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার ওসি হিসেবে যোগদান করেন। গত সপ্তাহখানেক ধরে ওই ছাত্রীকে স্থানীয় রাজেন্দ্রপুর এলাকায় শালবন গ্রিন ভিউ নামের একটি রিসোর্টে এনে রাখেন।
সূত্রে জানা গেছে, খবর পেয়ে ওই ছাত্রীর মা জয়দেবপুর আসেন। পরে তিনি মানিকগঞ্জের বিয়ে এবং কাবিনের দেনমোহর নিয়ে আপত্তি তুললে পুনরায় বিয়ে পড়ানো হয়। এতে দেনমোহর ১০ লাখ টাকা এবং নগদ একলাখ টাকা পরিশোধ দেখিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্টার খন্দকার আব্দুল মতিন কার্যালয়ে তাদের বিয়ে রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সৈয়দ মিরাজুল ইসলাম বলেন, সৈয়দ মিজানুর ইসলামের প্রথম স্ত্রীর সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। দুই মাস আগে প্রথম স্ত্রীর অজ্ঞাতে সৈয়দ মিজানুর ইসলাম ওই নারীকে (২৪) দ্বিতীয় বিয়ে করেন। পরে ওসি সৈয়দ মিজানুর ইসলাম জয়দেবপুর থানায় বদলি হয়ে আসেন। তিনি বাসা ভাড়া না নেয়ায় সপ্তাহ খানেক আগে ওই নারীকে গাজীপুরে এনে রাজেন্দ্রপুর এলাকায় শালবন নামের একটি রিসোর্টে রাখেন। বৃহস্পতিবার তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হলে ওই নারী বিষয়টি গাজীপুরের পুলিশ সুপারকে জানান। পরে পুলিশ সুপার ওই নারীকে তার কার্যালয়ে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার কাজী সফিকুল আলম বলেন, সৈয়দ মিজানুর ইসলাম একটা দায়িত্বশীল পদে রয়েছেন। মৌখিকভাবে তার নৈতিকস্খলনের অভিযোগ পেয়ে তাকে থানার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে পুলিশ লাইনে বদলি করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে এবং তদন্তে সত্য প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।