দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করে পরাজিত হয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। বেসরকারি ফলাফল অনুসারে মাহি পেয়েছেন ৯ হাজার ৯ ভোট। ওই আসনে ১ লাখ ৩ হাজার ৫৯২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী।
নির্বাচনে পরাজয়কে বরণ করে নিয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহি। তা ছাড়া তানোর-গোদাগাড়ী এলাকায় যারা তাকে ভোট দিয়েছেন, যারা তার হয়ে কাজ করেছেন এবং নির্বাচনে যিনি জয়ী হয়েছেন তাদের বিষয়ে কথা বলতে ফেসবুকে লাইভে এসেছিলেন মাহিয়া মাহি।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফেসবুক থেকে লাইভে আসেন মাহিয়া মাহি। ক্যাপশনে লেখেন, ‘তানোর গোদাগাড়ীবাসীর উদ্দেশে’।
লাইভে মাহি বলেন, সবাই নিশ্চয় ভাবছেন আমার প্রচণ্ড মন খারাপ। কিছুটা তো মন খারাপ হবেই। কারণ আমি হেরে গেছি গেমে; নির্বাচন একটা গেম। মন খারাপ কিছুটা, কিন্তু সে রকম কিছু না।
তিনি জানান, তার ইশতেহারে বলা কথাগুলো, যেমন নারীদের ঘর হবে একেকটা কর্মসংস্থান এবং তরুণরা হবেন উদ্যোক্তা; এসব সরকারিভাবে যতটা সম্ভব তা ব্যক্তিগতভাবে বাস্তবায়ন করা চ্যালেঞ্জিং। তবুও ব্যক্তিগত উদ্যোগে চেষ্টা চালিয়ে যাবেন তিনি।
লাইভে চিত্রনায়িকা আরও বলেন, সারা দেশের রাস্তা উন্নত, সেখানে আমার তানোর-গোদাগাড়ীতে এখনো গরুর গাড়ি চলার মতো অবস্থা। বৃষ্টি ও বর্ষার সময় হাঁটু কাদা হয়ে যায়। সেই রাস্তাঘাট এবং বরেন্দ্রভূমির যে পানির সমস্যা, এই দুটি বিষয়ে দৃষ্টি দেবেন যিনি নতুন নির্বাচিত সংসদ সদস্য হয়েছেন; গত ১৫ বছরে যেসব উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি, সেসব এই পাঁচ বছরে যেন তিনি করেন।
বিজয়ী পক্ষের প্রতি পরাজিত প্রার্থী মাহি বলেন, আমার জন্য মাঠে যারা কাজ করেছেন, আগামী পাঁচ বছরে আমার জন্য যারা কাজ করবেন সেসব কর্মী-সমর্থকদের আপনারা যদি কোনোরকম ডিস্টার্ব করেন, তাহলে মনে রাখবেন, আমি কিন্তু দুর্বল না। আমি মানসিকভাবে যতটা শক্তিশালী, কর্মীদের ন্যূনতম অপমানেও আমি সর্বোচ্চ লড়াই করব। যে কর্মীরা আমার জন্য কাজ করেছে, তাদের জন্য দরকার হলে আমি জানও দিতে পারি।
নির্বাচিত প্রার্থীর প্রতি মাহি বলেন, পাঁচ বছরে আপনারা এমন এমন কাজ করবেন, যাতে মানুষের হৃদয়ে আপনাদের জায়গা হয়। যিনি নতুন সংসদ সদস্য হয়েছেন, তার প্রতি আমার পরামর্শ—আপনারা মানুষের উপকারের জন্য যে সুপ্রিম পাওয়ার পেয়েছেন পাঁচ বছরের জন্য, সেটা কাজে লাগাবেন।