মাদারীপুর-৩ আসনের কালকিনিতে একটি ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার কাঠের সাঁকোর কিছু অংশ ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত সাঁকোটি দেখতে পান প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে কালকিনি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াকান্দি গ্রামে।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, কালকিনি উপজেলা থেকে সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে সরঞ্জামাদি বুঝে নিয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ওই কেন্দ্রে যান। তারা এসময় দেখতে পান ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার কাঠের সাঁকোটির বিভিন্ন স্থানের কাঠ ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া যাতায়াতের জন্য সাঁকোর ওপরে দেওয়া কিছু কাঠও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। পরে তারা কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশকে বিষয়টি জানান। তাৎক্ষণিকভাবে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কালকিনি উপজেলার ১০৯ নম্বর নয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটার দুই হাজার ৯০০। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক হাজার ৫৪০ জন ও নারী ভোটার এক হাজার ৩৬০ জন। এ ভোটকেন্দ্রে চরফতে বাহাদুরপুর ও দক্ষিণ চরফতে বাহাদুরপুর মৌজার চারটি গ্রামের ভোটাররা ভোট দেবেন। এরমধ্যে ঝুরগাঁও, পাতাবালী, খলিশাডুবি ও নয়াকান্দি গ্রাম আছে।
নয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রসাইডিং কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ভোটকেন্দ্রের কাছাকাছি খালের ওপরে থাকা কাঠের সাঁকোটি কে বা কারা ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। তবে, ভোটারদের যাতায়াতের জন্য বিকল্প ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। কোনো অসুবিধা হবে না।
মাদারীপুর-৩ আসনের সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা ও কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ বলেন, নয়াকান্দির ভোটকেন্দ্রটিতে স্থায়ী ছয়টি ভোটকক্ষ ও অস্থায়ী আরও একটি কক্ষ রাখা আছে। যে সাঁকোটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটি মেরামতের কাজ চলছে। বিকল্প ব্যবস্থাও রাখা আছে। তাই ভোটারদের আসতে কোনো সমস্যা হবে না।
মাদারীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) তাহমিনা বেগম, জাতীয় পার্টির আব্দুল খালেক, তৃণমূল বিএনপির প্রবীণ হালদার, বাংলাদেশ সুপ্রিম পাটির্র নিতাই চক্রবর্তী ও কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের নকুল কুমার বিশ্বাস।।