বগুড়ার কাহালুতে যাত্রীবেশে ইজিবাইকে উঠে কিশোর চালক সায়েল আলী (১৬) হত্যা করা হয়৷ ইজিবাইক ছিনতাই করার জন্যই তাকে হত্যা করে ১৭ বছর বয়সী আরেক কিশোর। গ্রেফতারের পর ওই কিশোর আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) পিবিআই বগুড়ার পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার খয়রাপুকুর বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করে পিবিআই। পরে তার বাড়ির পাশ থেকে ছিনতাই হওয়া ইজিবাইক জব্দ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সুপার জানান, নিহত সায়েল বগুড়া শহরের বৃন্দাবনপাড়ার বাসিন্দা। গত ২১ ডিসেম্বর সকালে প্রতিদিনের মতোই সে শহরের ফুলবাড়ির একটি গ্যারেজ থেকে ইজিবাইক ভাড়া নিয়ে বের হয়। রাতেও বাড়ি ফিরে না আসায় সায়েলের মা উর্মি বেগম বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরও বন্ধ পান।
পরে ২২ ডিসেম্বর তিনি বগুড়া সদর থানায় একটি জিডি করেন। এর দুইদিন পর কাহালুতে একটি খড়ের গাদার (স্তূপ) নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধার হলে ছেলের বলে শনাক্ত করেন উর্মি। এ ঘটনায় পরদিন ২৫ ডিসেম্বর কাহালু থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।
তিনি আরও জানান, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রেফতার কিশোর ২১ ডিসেম্বর বিকেলে তার তিন সহযোগী মিলে সায়েলের ইজিবাইক ভাড়া করে। পরে তাকে অতিরিক্ত ভাড়ার লোভ দেখিয়ে সুখানপাড়া গ্রামের কাউড়া-কালিতলা সড়কে নিয়ে গিয়ে ইজিবাইকটি ছিনতাই করে। এই সময় সায়েল বাধা দিতে গেলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ গুম করার জন্য খড়ের গাদার মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়।
পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীর আরও বলেন, গ্রেফতার আসামির জবানবন্দি অনুযায়ী জড়িত বাকিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। সকালে সে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন৷
গত রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে কাহালু উপজেলার কালাই ইউনিয়নের সুখানপাড়া গ্রামের কাউড়া-কালিতলা সড়কের পাশে একটি খড়ের গাদার নিচ থেকে কিশোর ইজিবাইক চালক সায়েলের মুখ বিকৃত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।।